নিজস্ব প্রতিবেদক
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিয়ালা গ্রামে সরকারি লিজকৃত একটি খাস পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগে মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার মহির উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে জয়পুরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ৬৭/পি।
বিজ্ঞ আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কালাই উপজেলার বিয়ালা গ্রামের পুকুরটি সরকারি খাস খতিয়ানের সম্পত্তি। সেই পুকুরটি ধুনট মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের মামলা নং ৮ মিস আপীলের ১৭/০৭/২০২২ ইং তারিখের আদেশ গত ২০/১০/২০২২ তারিখের চেক রশিদ নং ৩৭০৮৬/২৩ মুলে লিজ ও দখল প্রাপ্ত হয়ে বাদী সমিতির পক্ষে রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন মাছ ছাড়েন। সে পুকুরে প্রায় ২৫০ মণ মাছ ছিল। গত ২৩ আগস্ট মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিকের নেতৃত্বে অন্যান্য সকল আসামী বেড় জাল, তৌরা জাল, বস্তা, কীটনাশক, ভূটভূটি ও দেশীয় অস্ত্রসহ পুকুরে প্রবেশ করে। এসময় ১ নং আসামীর হুকুমে অন্য আসামীরা জাল দিয়ে মাছ তুলে গাড়িতে উঠায়। এসময় বাদী ঘটনাটি শুনে পুকুরে গিয়ে দেখে আসামীরা প্রায় ৭০ মণ মাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। বাদী তাদের বাধা দিলে ২নং আসামী বাদীকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যাওয়ার আগে ৩/৪ নং আসামী ৬টি বোতলের কীটনাশক পুকুরে ফেলে দিয়ে যায়। এরপরে অন্যান্য মাছ বিষের প্রভাবে মরে ভেসে উঠতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকার আরও প্রায় ১৫০ মণ মাছ মরে যায়। এ ঘটনায় মহির উদ্দীন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিচার না পেয়ে বুধবার জয়পুরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা তিথি বলেন, আদালত থেকে এখনও কোন কাগজ হাতে পাইনি। আদালতের যে নির্দেশনা আসবে সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply